ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

ঐতিহাসিক শহীদ দৌলত দিবস ৫ ডিসেম্বর

চকরিয়া অফিস ::
কাল ঐতিহাসিক শহীদ দৌলত দিবস। ১৯৮৭সালের ৫ডিসেম্বর স্বৈরচার এরশাদ বিরোধী গণ-আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন তৎকালিন চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শহীদ দৌলত খান। সেইদিন থেকে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ সহ বিভিন্ন সংগঠন দৌলত দিবসটি পালন করে আসছেন।
এদিকে শহীদ দৌলত দিবস উপলক্ষে নানান কর্মসূচী পালন করবে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ, মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা আওয়ামীলীগ, উপজেলা ছাত্রলীগ, শহীদ দৌলত স্মৃতি সংসদ ও পৌরসভা ছাত্রলীগ। চকরিয়া দৌলত স্মৃতি সংসদের আহবায়ক মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর আলম বুলবুল জানান, শহীদ দৌলত দিবস উপলক্ষে নানান কর্মসূচী হাতে নেওয়া হয়েছে। সকাল ৮টায় কোরআনখানী, ক্যালো ব্যাজ ধারণ, সকাল ৯টায় দোয়া মাহফিল, কবরে পুষ্পমাল্য ও ১টায় তবুরক বিতরণ করা হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৮৭ সালের ৫ডিসেম্বর স্বৈরচার এরশাদ বিরোধী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন গণ-আন্দোলনে ২২ দলীয় জোটের নেতৃত্বে উপজেলা পরিষদ ঘেরাও কর্মসূচী পালন করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন তৎকালীন ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি দৌলত খান।

শহীদ দৌলত খানের সহকর্মীরা বলেন, তৎকালীন এরশাদ সরকার অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুল, কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেন। মিছিল, সমাবেশ, অবরোধ নিষিদ্ধ করে। সকাল ৯টার দিকে কর্মসূচিতে যাওয়ার জন্য চকরিয়া পৌরসভার সাবেক প্রশাসক বর্তমান কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে উপজেলা পরিষদের দিকে যাত্রা করলে পুলিশে বেপরেয়া হয়ে মারধর ও গুলি ছুঁড়তে থাকে। ওইসময় গুলিবিদ্ধ হয় ছাত্রলীগ নেতা দৌলত খান। তাকে মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রীষ্টান হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। স্বৈরচার বিরোধী আন্দোলনের এই নেতা শহীদ দৌলত খানের স্মৃতিকে ধরে রাখতে কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরীর ময়দানকে শহীদ দৌলত ময়দান ও চকরিয়া থানা সড়কটি দৌলত খানের নামে নামকরণ করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: